বুধবার, ১ জুলাই, ২০১৫

পড়ুন শয়তান তাসলিমার পক্ষে শয়তানের আলোচনা।! মঙ্গলবার ১৬ আষাঢ় ১৪২২ | ৩০ জুন ২০১৫ সীমান্ত প্রধান প্রতিটি তরুণীর জন্য হোক তসলিমার ‘নিমন্ত্রণ’ ক্যাটেগরিঃ পাঠাগার মঙ্গলবার ৩০জুন২০১৫, পূর্বাহ্ণ ১২:৩৪ ১. আমাদের মেয়েরা তসলিমা নাসরিনের বই পড়তে ভয়, লজ্জা পায়! কেউ কেউ আবার পড়ে লুকিয়ে লুকিয়ে (!), ভাবটা যেন তারা কোনো নিষিদ্ধ পর্ণ, চটি পড়ছে! কোনো কোনো বাবা-মাও মেয়েকে তসলিমা নাসরিন পড়তে দেখলে চোখজোড়া কপালে তুলেন, রক্তচক্ষু করে মেয়েকে কড়াভাবে শাসিয়ে দেন! তাদের ধারণা, তসলিমা নাসরিন পড়লে মেয়েরা উচ্ছন্নে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে! বখে যাবে! কিন্তু তারা কেনো বুঝতে চায় না, তসলিমা নাসরিনের বই পড়লে তাদের মেয়েরা সাহসী হয়ে উঠবেন, প্রতিবাদ করা শিখবেন। মুখ বুঝে তারা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অন্যায়গুলো সহ্য করবে না। এতে করে তাদের ও তাদের মেয়েদের সুবিধে হবে। এটা কেনো তারা বুঝতে চান না? ‘নিমন্ত্রণ’ তসলিমা নাসরিনের উপন্যাস। আমার কাছে এই উপন্যাসটির মূল্য অনেক। আমি মনে করি কিশোরী বা তরুণীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এটি এক এবং অনন্য। প্রতিটি বাবা-মা’য়েরই উচিত তাদের মেয়েদের সচেতন করার জন্য তসলিমার ‘নিমন্ত্রণ’ তুলে দেয়া। তাহলে আমাদের মেয়েরা ভালোবাসতে গিয়ে যে পরিমাণ ধোঁকার সম্মুখীন হচ্ছে, অন্তত এর থেকে তারা কিছুটা হলেও রেহাই পাবে। তাদের ভেতরে তৈরি হবে সচেতনতা। ২. ধর্ষিতা মেয়ে বকুলি। প্রভাবশালীদের ভয়ে কিছুই বলতে পারছিলো না। তার মা বারবার তাকে বলছিলো, ‘কথা ক, কথা ক বকুলি’। তবুও সে কথা বলেনি। সেই বকুলিই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠে তসলিমার। তাই তসলিমা বলেছিলেন, লিখেছিলেন ‘ক’। যেখানে উঠে এসেছে অত্যন্ত ভদ্রবেশী কিছু না-মানুষের কথা। যেখানে অকপটে তসলিমা লিখে গেছেন যা কিছু সত্য, কিন্তু অপ্রিয়। তসলিমার মতো এমন সত্য বলার সাহস আর ক’জনের আছে? তসলিমা নাসরিনের ‘ক’ অন্তত প্রতিটি মেয়ের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠা দরকার। ‘ক’ থেকেই প্রতিটি মেয়েকে সাহস সঞ্চার করা উচিৎ। সমস্বরে প্রতিটি মেয়েকেই বলা দরকার, ‘এখন সময় এসেছে, আমাদেরকে বলতে হবে। সাহস করে উচ্চারণ করতে হবে আমাদের। আর নয় মুখ বুঝে থাকা। অন্যায়কে আর নয় সহ্য করা। এবার সময় হয়েছে জেগে উঠার’। প্রতিটি মেয়েকেই বলা দরকার, ‘আর কতকাল এভাবে চুপ করে থাকব। লজ্জায় আর কতকাল সত্য বলা থেকে দূরে থাকব? আর কতকাল ধর্ম ও সমাজের বেড়ি পায়ে, চার দেয়ালে মাথা ঠুকে মরব’? ৩. তসলিমা তার ‘লজ্জা’তে তুলে ধরেছিলেন আমাদের মৌলবাদীদের চরম উগ্রতার কথা। যা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন কাছ থেকে। সেই করুণ চিত্রই তিনি তুলে ধরে লিখেছিলেন ‘লজ্জা’। আর এই ‘লজ্জা’তেই চরমভাবে লজ্জা পেয়ে তসলিমা নাসরিনের উপর বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলো এদেশের ধর্ম ব্যবসায়ীরা। তসলিমার ‘নির্বাচিত কলাম’ ছাপার জন্য সেসময় নাঈমুল ইসলাম খান সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘কাগজ’ অফিসেও ভাংচুর চালিয়েছিলো উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী। ট্যাগঃ: তসলিমা নাসরিন

পড়ুন শয়তান তাসলিমার পক্ষে শয়তানের আলোচনা।!
মঙ্গলবার ১৬ আষাঢ় ১৪২২ | ৩০ জুন ২০১৫
সীমান্ত প্রধান
প্রতিটি তরুণীর জন্য হোক তসলিমার ‘নিমন্ত্রণ’
ক্যাটেগরিঃ পাঠাগার
মঙ্গলবার ৩০জুন২০১৫, পূর্বাহ্ণ ১২:৩৪
১.
আমাদের মেয়েরা তসলিমা নাসরিনের বই পড়তে
ভয়, লজ্জা পায়! কেউ কেউ আবার পড়ে লুকিয়ে
লুকিয়ে (!), ভাবটা যেন তারা কোনো নিষিদ্ধ পর্ণ,
চটি পড়ছে! কোনো কোনো বাবা-মাও
মেয়েকে তসলিমা নাসরিন পড়তে দেখলে
চোখজোড়া কপালে তুলেন, রক্তচক্ষু করে
মেয়েকে কড়াভাবে শাসিয়ে দেন! তাদের ধারণা,
তসলিমা নাসরিন পড়লে মেয়েরা উচ্ছন্নে যাবে,
নষ্ট হয়ে যাবে! বখে যাবে! কিন্তু তারা কেনো
বুঝতে চায় না, তসলিমা নাসরিনের বই পড়লে তাদের
মেয়েরা সাহসী হয়ে উঠবেন, প্রতিবাদ করা
শিখবেন। মুখ বুঝে তারা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের
অন্যায়গুলো সহ্য করবে না। এতে করে তাদের
ও তাদের মেয়েদের সুবিধে হবে। এটা
কেনো তারা বুঝতে চান না?
‘নিমন্ত্রণ’ তসলিমা নাসরিনের উপন্যাস। আমার কাছে
এই উপন্যাসটির মূল্য অনেক। আমি মনে করি
কিশোরী বা তরুণীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির
লক্ষ্যে এটি এক এবং অনন্য। প্রতিটি বাবা-মা’য়েরই
উচিত তাদের মেয়েদের সচেতন করার জন্য
তসলিমার ‘নিমন্ত্রণ’ তুলে দেয়া। তাহলে আমাদের
মেয়েরা ভালোবাসতে গিয়ে যে পরিমাণ
ধোঁকার সম্মুখীন হচ্ছে, অন্তত এর
থেকে তারা কিছুটা হলেও রেহাই পাবে। তাদের
ভেতরে তৈরি হবে সচেতনতা।
২.
ধর্ষিতা মেয়ে বকুলি। প্রভাবশালীদের ভয়ে কিছুই
বলতে পারছিলো না। তার মা বারবার তাকে বলছিলো,
‘কথা ক, কথা ক বকুলি’। তবুও সে কথা বলেনি। সেই
বকুলিই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠে তসলিমার। তাই তসলিমা
বলেছিলেন, লিখেছিলেন ‘ক’। যেখানে উঠে
এসেছে অত্যন্ত ভদ্রবেশী কিছু না-মানুষের
কথা। যেখানে অকপটে তসলিমা লিখে গেছেন যা
কিছু সত্য, কিন্তু অপ্রিয়। তসলিমার মতো এমন সত্য
বলার সাহস আর ক’জনের আছে?
তসলিমা নাসরিনের ‘ক’ অন্তত প্রতিটি মেয়ের
অনুপ্রেরণা হয়ে উঠা দরকার। ‘ক’ থেকেই প্রতিটি
মেয়েকে সাহস সঞ্চার করা উচিৎ। সমস্বরে প্রতিটি
মেয়েকেই বলা দরকার, ‘এখন সময় এসেছে,
আমাদেরকে বলতে হবে। সাহস করে উচ্চারণ
করতে হবে আমাদের। আর নয় মুখ বুঝে থাকা।
অন্যায়কে আর নয় সহ্য করা। এবার সময় হয়েছে
জেগে উঠার’। প্রতিটি মেয়েকেই বলা দরকার,
‘আর কতকাল এভাবে চুপ করে থাকব। লজ্জায় আর
কতকাল সত্য বলা থেকে দূরে থাকব? আর কতকাল
ধর্ম ও সমাজের বেড়ি পায়ে, চার দেয়ালে মাথা
ঠুকে মরব’?
৩.
তসলিমা তার ‘লজ্জা’তে তুলে ধরেছিলেন আমাদের
মৌলবাদীদের চরম উগ্রতার কথা। যা তিনি প্রত্যক্ষ
করেছেন কাছ থেকে। সেই করুণ চিত্রই তিনি
তুলে ধরে লিখেছিলেন ‘লজ্জা’। আর এই
‘লজ্জা’তেই চরমভাবে লজ্জা পেয়ে তসলিমা
নাসরিনের উপর বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলো
এদেশের ধর্ম ব্যবসায়ীরা। তসলিমার ‘নির্বাচিত কলাম’
ছাপার জন্য সেসময় নাঈমুল ইসলাম খান সম্পাদিত
সাপ্তাহিক ‘কাগজ’ অফিসেও ভাংচুর চালিয়েছিলো উগ্র
মৌলবাদী গোষ্ঠী।
ট্যাগঃ: তসলিমা নাসরিন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন