মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০১৭
মুফিদ, এর সময়োপযোগী মুল্যায়ন লেখা। হিজাব, ধর্ষণ, হুদুদ, ইসলামী বিপ্লব ও সামাজিক বিপ্লবের আলাপ =================== বোরকা/হিজাব সমাধান হলে ৮ বছরের মেয়ে ধর্ষিত হয় কিভাবে? ওর ত পর্দা ফরজ হয় নাই। এই প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই প্রশ্ন করা দরকার। এই প্রশ্নের ভেতর কল্যাণ আছে । বোরকা বা হিজাব আসলে আল্টিমেট সমাধান না। এটা আমার কাছে সামগ্রিক সমাধানের একটি অংশ। বোরকা আর হিজাব পর্দাও না। বোরকা পরেও বেপর্দায় থাকা যায়। ফার্মগেট গুলিস্তানের মোড়ে একটু রাত নামলেই বোঝা যায়, বোরকামাত্রই পর্দা নয়। পর্দা একটা সামগ্রিক ব্যবস্থা। এই যে এত এত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের পর্দাটা কী? রাষ্ট্রের পর্দা হচ্ছে বিচারের ব্যবস্থা করা। নারীর পর্দা হচ্ছে শালীনতার ইসলামিক স্টান্ডার্ড বজায় রাখা। পুরুষের পর্দা দৃষ্টি অবনত করে চলা। সমাজের পর্দা হচ্ছে মূল্যবোধ তৈরী করা। এইসকল জিনিসগুলো সমন্বিত হয়েই একটা পর্দার পরিবেশ তৈরী হয়। কেবলমাত্র বোরকাকে পর্দা মনে করার প্রবণতা যারা ইসলাম সম্পর্কে একেবারেই অল্প জানেন তাদের ভেতর দেখা যায়। কয়েকবছর আগে লাকী আক্তার (শাহবাগের স্লোগান কণ্যা) এ ধরণের একটি পোষ্ট করেছিলেন। আমি তাকে এই কথাগুলি তখন বলেছিলাম। আর যারা ইসলাম সম্পর্কে কম জানে তাদের তরফ থেকে এরকম মনে করার কারণও আছে। ঐতিহাসিকভাবে আমাদের এখানে পর্দা বলতে বোরকার ধারণাই প্রচারিত হয়ে আসছে। আর বোরকা দেখা যায়, কেউ বোরকা পরলে সেটা চোখে পড়ে, কিন্তু কোন পুরুষ দৃষ্টি আনত করে চললে ওটা অতটা প্রকট হয়ে চোখের সামনে ধরা দেয় না। সাধারণত এসব ছেলেরা বরং সমাজে লাজুক খ্যাতি পায়। "পর্দানশীন পুরুষ" শব্দটা কেউ বলেও না। "পর্দানশীন পুরুষ" শব্দটা কেউ উচ্চারণও করে না। সব জায়গাতে শুধু "পর্দানশীন নারী"। ফলে বোরকাই পর্দার সিম্বল হয়ে উঠেছে । আর মানুষ সিম্বল মনে রাখতে ভালোবাসে। এখন আম জনতা মনে করে যাহাই পর্দা তাহাই বোরকা! এটা অস্বাভাবিক হলেও অস্বাভাবিক নয়। এখন ইসলামিস্ট গ্রুপগুলোর পর্দা কি? এদের পর্দা হচ্ছে এসকল ভিকটিমকে বিচার পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা। আমরা সাধারণত একটা ঘটনা চাউর হবার পর ভিকটিমকে পর্দা করার নসীহত করি এবং ধর্ষকের শরীয়া আইন বাস্তবায়ন করে বিচার করার নসীহত করে খ্যান্ত হই? কিন্তু আমরা ভালো করেই জানি এই মুহূর্তে ইসলামী হুদুদ প্রয়োগের কোন সম্ভাবনা নাই। এখন প্রশ্ন ওঠে, তাহলে এখন আমরা কী করব? আমরা যারা ইসলাম নিয়ে কাজ করি তাদের ভেতর এটা নিয়ে দ্বিধা কাজ করে, এবং করাটাই স্বাভাবিক। আমরা ভাবি এবং ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এটা আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই সত্য। কিন্তু মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হচ্ছে, ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হবার আগে কি হবে? ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হওয়া ত সুদূর পরাহত বিষয়। তার আগ পর্যন্ত এসকল সমস্যাকে কিভাবে সমাধাণ করা হবে? উপরোক্ত প্রশ্নের প্রশ্নের উত্তরের ভেতর কয়েকটি জরুরী বিষয় লুকিয়ে আছে । এসকল সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আমরা বলতে রাসূল (স) এর বিপরীত পদ্ধতি অবলম্বন করি। একটা উদাহণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে আশা করি। খাব্বাব ইবনে আরাত (রা.) সহ আরও কিছু সাহাবী রাসূল (স) এর কাছে গিয়ে বললেন, " হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আপনি কি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন না এবং দোয়া করবেন না?" তখন রাসূল (স) আগেকার জমানার লোকেরা কি পরিমাণ নির্যাতন সহ্য করেছেন সেগুলির বর্ণনা দিয়ে বলেছিলেন, " আমি আল্লাহর নামে কসম করে বলছি এমন এক সময় আসবে যখন সানা থেকে হাদরামাউত পর্যন্ত মানুষ চলবে, এ মানুষগুলোর মনের মধ্যে এক আল্লাহর ভয় ছাড়া আর কোনো ভয় থাকবে না। আর মেষ পালের জন্য বাঘের ভয় ছাড়া আর কোনো ভয় থাকবে না। বরং তোমরা বড্ড তাড়াহুড়ো করছ।" (সহীহ আল বোখারী) উপরের ঘটনায় ২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। তা হচ্ছে (১) আল্লাহ রাসূল (স) কে দিয়ে সাহাবীদেরকে শুধু জান্নাতের সুসংবাদই দিতেন না, বরং বাস্তব জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার মত একটা স্বপ্নও দেখাতেন। একটা সমাজ বিপ্লবের স্বপ্ন। খাব্বাব (রা) সহ অন্যান্য সাহাবীগণের মত সাহাবীরা কী পরিমাণ নির্যাতন সহ্য করে তারপর রাসূলের কাছে অনুযোগ করেছেন তা সহজেই অনুমেয়। (২) দ্বিতীয় বিষয় যেটি লক্ষ করার মত তা হচ্ছে , রাসূল (স) কাবায় হেলান দিয়ে একটি স্বপ্ন তো দেখিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি কি তাদেরকে কোন রোডম্যাপ বলেছিলেন যে কিভাবে কিভাবে এটি বাস্তবায়িত হবে? ইতিহাস থেকে আমরা জানি রাসূল (স) হজরত আলী (রা) কে ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে ইয়েমেন এবং এর আশপাশের এর আশপাশের এলাকাগুলিতে পাঠান। আর রাসূল (স) এর ওফাত হয়েছিলো ৬৩১ খ্রিষ্টাব্দে। অর্থাৎ রাসূল (স) মক্কায় কাবায় হেলান দিয়ে সেই চরম নির্যাতনের দিনগুলিতে বসে তার জীবনের শেষ দিনগুলির কথা বলছিলেন। কারণ হজরত আলীকে পাঠানোর সাথে সাথেই ত আর ওরকম নিরাপত্তার পরিস্থিতি তৈরী হয়ে যায়নি? তো, এটা তো গেল রাসূল (স) এর ভিশনের কথা। কিন্তু এটা অর্জন করার জন্য রাসূল (স) কি করেছেন? আমরা কোরআনের দিকে তাকালে দেখতে পাই কোরআন সবসময় বর্তমান প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে। অর্থাৎ কোরআনের স্বভাব হচ্ছে, অন্যকথায় ইসলামের স্বভাব হচ্ছে সে সবসময় নগদ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। রাসূল (স) তো আর মক্কায় বসে বসে এই ধরণের নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করার জন্য কি কি হুদুদ প্রয়োগ করা উচিৎ সে সব কথা বলেন নি! তিনি বর্তমানের প্রেক্ষাপটে কর্মসূচী নির্ধারণ করতেন। এবং এগুলি ছিলো অত্যন্ত বাস্তব। হিজরতের পর মদিনায় গিয়েও কি আল্লাহ তাঁকে দিয়ে এসব বলিয়েছেন? এসব ঘটনা সব একেরপর এর বাস্তবতার নীরিখে ঘটে চলেছে । মদ পুরোপুরিভাবে হারাম হতে তিনটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছিলো। ইসলামের প্রথম যুগে জাহেলিয়াত আমলের সাধারণ রীতি-নীতির মত মদ্যপানও স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। অতঃপর রসূলে করীম (সাঃ)-এর হিজরতের পরেও মদীনাবাসীদের মধ্যে মদ্যপান ও জূয়ার প্রথা প্রচলিত ছিল। সাধারণ মানুষ এ দুটি বস্তুর শুধু বাহ্যিক উপকারিতার প্রতি লক্ষ্য করেই এতে মত্ত ছিল। কিন্তু এগুলোর অন্তর্নিহিত অকল্যাণ সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই ছিল না। মদীনায় পৌছার পর কতিপয় সাহাবী এসব বিষয়ের অকল্যাণগুলো অনুভব করলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে হযরত ফারূকে-আযম, হযরত মা’আয ইবনে জাবাল এবং কিছুসংখ্যক আনসার রসূলে-করীম (সাঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললেনঃ “ মদ ও জুয়া মানুষের বুদ্ধি-বিবেচনাকে পর্যন্ত বিলুপ্ত করে ফেলে এবং ধনসম্পদও ধ্বংস করে দেয়। এ সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি?” এ প্রশ্নের উত্তরে সূরা বাকারায় নিম্নোক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। “তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্য উপকারিতাও রয়েছে, তবে এ-গুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়”। আয়াতটিতে বলা হয়েছে যে, মদ ও জুয়াতে যদিও বাহ্যিক দৃষ্টিতে কিছু উপকারিতা পরিলক্ষিত হয়, কিন্তু দু’টির মাধ্যমেই অনেক বড় বড় পাপের পথ উন্মুক্ত হয়; যা এর উপকারিতার তুলনায় অনেক বড় ও ক্ষতিকর। যেমন, মদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় দোষ হচ্ছে এই যে, এতে মানুষের সবচাইতে বড় গুণ, বুদ্ধি-বিবেচনা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ, বুদ্ধি এমন একটি গুণ যা মানুষের মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। পক্ষান্তরে যখন তা থাকে না, তখন প্রতিটি মন্দ কাজের পথই সুগম হয়ে যায়। এ আয়াতে পরিষ্কার ভাষায় মদকে হারাম করা হয়নি, কিন্তু এর অনিষ্ট ও অকল্যাণের দিকগুলোকে তুলে ধরে বলা হয়েছে যে, মদ্যপানের দরুন মানুষ অনেক মন্দ কাজে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে। মদের ব্যাপারে পরবর্তী আয়াতটি নাযিল হওয়ার ঘটনা নিম্নরূপঃ একদিন হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফা (রাঃ) সাহাবিগণের মধ্যে হতে তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে নিমন্ত্রণ করেন। আহারাদির পর যথারীতি মদ্যপানের ব্যবস্থা করা হলো এবং সবাই মদ্যপান করলেন। এমতাবস্থায় মাগরিবের নামাযের সময় হলে সবাই নামাযে দাঁড়ালেন এবং একজনকে ইমামতি করতে এগিয়ে দিলেন। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় যখন তিনি সুরা আল-কাফিরূন ভুল পড়তে লাগলেন, তখনই মদ্যপান থেকে পুরোপুরী বিরত রাখার জন্যে দ্বিতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। এরশাদ হলঃ “হে ঈমানদারগণ! নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তোমরা নামাযের কাছেও যেওনা।” এই আয়াতের মাধ্যমে নামাযের সময় মদ্যপানকে হারাম করা হয়েছে। তবে অন্যান্য সময় তা পান করার অনুমতি তখনও পর্যন্ত বহাল রয়ে গেল। মদ্যপান সম্পূর্নরূপে হারাম হওয়ার ঘটনাটি নিম্নরূপঃ হযরত আতবান ইবনে মালেক কয়েকজন সাহাবীকে নিমন্ত্রণ করেন, যাদের মধ্যে সা’দ ইবনে আবী অক্কাসও উপস্থিত ছিলেন। খাওয়া-দাওয়ার পর মদ্যপান করার প্রতিযোগিতা এবং নিজেদের বংশ ও পূর্ব-পুরুষদের অহংকারমূলক বর্ণনা আরম্ভ হয়। সা’দ ইবনে আবী অক্কাস একটি কবিতা আবৃত্তি করলেন যাতে আনসারদের দোষারোপ করে নিজেদের প্রশংসাকীর্তন করা হয়। ফলে একজন আনসার যুবক রাগাম্বিত হয়ে উটের গন্ডদেশের একটি হাড় সা’দ এর মাথায় ছুঁড়ে মারেন। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে সা’দ রসূল (সাঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে উক্ত আনসার যুবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তখন হুযূর (সাঃ) দোয়া করলেনঃ ‘হে আল্লাহ! শরাব সম্পর্কে আমাদের একটি পরিষ্কার বর্ণনা ও বিধান দান কর।’ তখনই সূরা মায়েদার উদ্ধৃত মদ ও মদ্যপানের বিধান সম্পর্কিত বিস্তারিত আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। এতে মদকে সম্পূর্ণরূপে হারাম করা হয়েছে। “হে ঈমান্দারগণ! নিশ্চিত জেনো, মদ, জুয়া, মূর্তি এবং তীর নিক্ষেপ এসবগুলোই নিকৃষ্ট শয়তানী কাজ। কাজেই এসব থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে থাক, যাতে তোমরা মুক্তিলাভ ও কল্যাণ পেতে পার। মদ ও জুয়ার দ্বারা তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্ত্রুতা ও তিক্ততা সৃষ্টি হয়ে থাকে; আর আল্লাহর যিকর ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখাই হল শয়তানের একান্ত কাম্য, তবুও কি তোমরা তা থেকে বিরত থাকবে না? বাস্তবতার দাবি অনুযায়ী একদম সবচাইতে নগদ সমস্যার সমাধান, এবং ধীরেধীরে একটি বড় লক্ষের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কায়দাই ইসলামী কায়দা। একবার ভাবেন, হঠাৎ করেই মদ নিষিদ্ধ করলে কেমন একটা বিপত্তি বেধে যেত। মদ কেউ খায় না -এরকম একটি সমাজে আপনি জোর করে মদ থেকে কাউকে বিরত রাখতেই পারেন, কিন্তু মদের মধ্যে বসবাস এরকম কাউকে আপনি হঠাৎ হুদুদ শুনিয়ে দিলে না আপনি সফল হবেন, না মদ্যাসক্ত ব্যক্তি। একই কথা সামাজিক পরিবর্তনের সব ক্ষেত্রেই খাটে । এখনকার প্রচলিত আইনে ধর্ষিত নারীকে বিচার পাইয়ে দেয়ার মধ্যেই রয়েছে আগামীদিনে আমাদের কার্যক্রমের প্রতি মানুষের আস্থার বীজ। আমাদের জনপ্রিয়তার বীজ। আমরা এখনকার সমস্যার সমাধান খুঁজি অগামীর সমাধানের মধ্যে কিন্তু ইসলামের স্বভাব হচ্ছে, নগদ সমস্যার নগদ সমাধান। এখানে অন্যান্য রাজনীতির সফলতা আর আমাদের তথা ইসলামপন্থী রাজনৈতিক ব্যর্থতার বিষয়টিও প্রকট হয়ে ওঠে । যখন অন্যরা বলে তোমাদের রাস্তাঘাট নাই, এগুলি করে দেব, তখন আমরা বলি, ইসলাম সব সমাধান, ইসলাম মানো সব ঠিক হয়ে যাবে, অথচ এই মুহূর্তে তার সব সমস্যা সমাধানের দরকার নাই। আপাতত রাস্তা চাই। ধর্ষিত মেয়েটির চাই মানসিক সাপোর্ট, আর ধর্ষকের অন্তত প্রচলিত আইনে বিচার হওয়া চাই। এই বিচারগুলি করিয়ে দিতে পারলে আমাদের পরবর্তীতে কি বলার আছে জনগন সেটি শুনতে চাইবে। অথচ আমরা শরয়ী হুদুদ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না দেখে যেন আর কিছুই হওয়া যাবে না, এরকম একটি মানসিকতা নিয়ে বসে থাকি। ফলে কিছুই হয় না। আমরা রাসূলের ইসলামের কথাই বলি কিন্তু কৌশলটা রাসূল (স) এর কাছে থেকে ধার করি না বলে সফলতার মুখও দেখি না। সামাজিক পরিবর্তনের ভিশন থাকবে দূরের, কিন্তু আমাদের সমাধান করে চলতে হবে হাতে থাকা নগদ সমস্যাটি। এভাবেই হয়ত একদিন আমরা সফলতার মুখ দেখব। জুব্বার সুন্নত আছে, কৌশলের সুন্নত কই??
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন