মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫

আস্সালামু আলাইকুম। ,,,,, রচনা,,,,, রচনাকার,,, মুফতি, মুফিদুল ইসলাম। রচনার নাম। ,,,, ইসলাম বিরুদ্ধবাদের চক্রান্ত,,, প্রিয় বিশ্ববাশি কেমন আছেন। আমি জানি আমার মত অনেকেই আছেন যারা ভালো নেই। কারন আজ সমস্ত পৃথিবীসমগ্রে মুসলিমরা নির্জাতিত নিপিরিত বা ধোকায় পতিত হচ্ছে সেই স্পেনের এপ্রিল ফুলের নেই। তার পরেও আমাদের আত্বসচেতনবোদ হচ্ছেনা। আমি রাসুলে পাঁক সাঃ এর একটি হাদিস বর্ননার মাধ্যমে রচনার মোল বক্তব্যে যাবে। হাদিসঃ যে ব্যক্তি বা কওম দুনিয়াতে যে ব্যক্তি বা কওমের অনুস্মরণ করিবে। সেই ব্যক্তি বা কওমের সাতেই অনুস্বারিদের হাশর নাশর হবে। অর্থাৎ ঐ অনুস্মরণ কৃতরা যে ধরনের ফল পাবে অনুস্মরণ কারিদেরও সে ধরনের ফল দেওয়া হবে পরকালে। সুতরাং একটু চিন্তাবানা করে চলা উচিৎ। আজ ১৪ফেব্রুয়ারী বিশ্ব বেহায়া দিবস। কিছু ধর্ষিত হবে। কিছু মেয়ে লাঞ্চিত হবে। কিছু মেয়ে তালাক প্রাপ্ত হবে। কিছু মেয়ে ইজ্জত হারাবে। কিছু মেয়ে সতিত্ত্ব হারাবে। কিছু মেয়ে বেশ্যা হবে। কিছু মেয়ে অবৈধ গর্ভপাত করবে। কিছু মেয়ে মা বাবার স্বপ্ন ভেঙ্গে দুই মিনিটের সুখের জন্য কারো লালসার শিকার হবে। এক কথায় মুসলিম যুবসমাজকে ধ্বংস করার অতীব ষড়যন্ত্রের রূপ হচ্ছে বর্তমান এই বিশ্ব ভালোবাসা বা বিশ্ব বেহায়া দিবস। আজ সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি, সভ্যতার নামে অসভ্যতা, বেহায়াপনা দ্বারা পুরো মুসলিম যুবসমাজকে বিপথগামী ও চরিত্রহীন করার জন্য মরণপন চেষ্টা চলছে। আর বর্তমানে ভালোবাসা মানেইতো হলো নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা যা ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। কালের বিবর্তনে দিনদিন আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। মুসলমানেরা আজ নিজস্ব সংস্কৃতি ছেড়ে অপসংস্কৃতির অনুসরন করছে। অথচ মুসলিম সমাজে এক সময় নীতি - নৈতিকতার মূল্য ছিলো সীমাহীন। লজ্জাশীলতা ও বিশুদ্ধতাই ছিলো সেই সমাজের অলংকার। সেই অবস্থা থেকে আজ আমরা কোন দিকে যাচ্ছি? বিজাতীয়দের মতো ভ্যালেন্টাইন ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে। মুসলমানেরাও যদি একইভাবে এই দিবসটি পালন করে তাহলে তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য থাকে কোথায়? তাই আমি বিশ্বের মুসলিম ভাই বোনদেরকে আহবান করিব আজ থেকেই এই নগ্নতা অপসংস্কৃতি থেকে বাচার চেষ্টা করিব এবং আমার অপর ভাই বোনদেরকে বেচেথাকার প্রতি উদবদ্বো করিবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ পাক আমাদেরকে এই নগ্ন সংস্কৃতি বর্জনের তৌফিক দান করুন আমিন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন