শুক্রবার, ১৫ মে, ২০১৫
মুফিদ ডেস্ক। জান্নাতের পথ মোরগ-মুরগী ড্রেসিং; কী বলে শরীয়ত..? মাসআলাটি জানার জন্য প্রথমেই দুটি বিষয় জেনে নেয়া আবশ্যক৷ (১) যবেহকৃত মোরগ-মুরগী যদি গরম পানিতে এতটুকু পরিমাণ চুবিয়ে রাখা হয় যারফলে মোরগ- মুরগীর অভ্যন্তর ভাগের নাপাকীর কৃয়া গোশতে ছড়িয়ে পরে, তাহলে ঐ গোশত সম্পূর্ণরূপে নাপাক হয়ে যায়৷ ✅ফলে তা খাওয়া হারাম হয়ে যায়৷ এমনকি তা কোনভাবে পাক-পবিত্র করা যায় না৷ ✅(২) ড্রেসিং-এর জন্য যে পানিতে মোরগ- মুরগী চুবানো হয়, সে পানি যদি মোরগ-মুরগীর গলার কর্তিত অংশে লেগে থাকা প্রবাহিত রক্ত বা গায়ের মল-বিষ্ঠা ইত্যাদির কারণে নাপাক হয়ে গিয়ে থাকে অথবা উক্ত প্রকার নাপাকী যদি পানিতে পূর্ব হতেই থাকে এবং সে পানি পরিবর্তন না করা হয়, তাহলে উক্ত পানিতে মোরগ- মুরগী যদি এতটুকু পরিমাণ সময় চুবিয়ে রাখা হয় যারফলে উক্ত নাপাক পানি গোশতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে, ✅তাহলেও উক্ত গোশতকে পবিত্র ও হালাল করার কোন ব্যবস্থা নেই৷ তাই তা খাওয়াও জায়েয হবে না৷ ✅তাই সতর্কতামূলক প্রচলিত পদ্ধতিতে ড্রেসিং না করে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে বাড়িতে সাফাই করাই উচিত৷ ✅একান্ত যদি বাজারে ড্রেসিং করতেই হয়, তাহলে প্রথমে মোরগ-মুরগীর যবেহকৃত স্থান ও তার আশপাশ ভালোভাবে ধুয়ে নিবে, যাতে রক্তের দাগ বাকী না থাকে৷ তদ্রূপ এগুলোর শরীরের অন্য কোথাও নাপাক থাকলে তাও ধুয়ে নিবে৷ পূর্বের ব্যবহৃত পানি নাপাক হয়ে গিয়ে থাকলে তা ফেলে দিয়ে নতুন পানি গরম করে তাতে এত অল্প সময় চুবাবে যেন গরম পানির ক্রিয়ায় ভিতরের নাপাকী সঞ্চালিত হয়ে গোশতে ছড়িয়ে না পড়ে৷ _↔____অবশ্য মোরগ-মুরগীর পেট কেটে নাড়ি- ভূড়ি বের করে ও শরীরস্থ নাপাকী পরিস্কার করে উত্তপ্ত পাক-পবিত্র নির্মল পানিতে বেশিক্ষণ চুবিয়ে রাখলেও কোন অসুবিধা নেই৷ """" জরুরী মাসায়েল:"''" (মোরগ -মুরগীর ড্রেসিং প্রসঙ্গে --------------- ----------------- মোরগ মুরগী যবেহ করে ভিতরের মল, বিষ্টা ইত্যাদি অপসারণ না করে ড্রেসিং এর জন্য যদি এতটুকু পরিমাণ সময় গরম পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়, যার ফলে মোরগ মুরগীর অভ্যন্তর ভাগের নাপাকির আছর (ক্রিয়া) গোশতে ছড়িয়ে পরে, তাহলে ঐ গোশত সম্পুর্ণ রুপে নাপাক হয়ে যায়, ↔ফলে তা খাওয়া হারাম হয়ে যায়। এমনকি তা কোন ভাবে পাক- পবিত্র করা যায়না। ✅একান্ত যদি ড্রেসিং করতেই হয় তাহলে মুরগীর পেট কেটে নাড়ি-ভূড়ি বের করে ও শরীরের নাপাকি পরিস্কার করে যদি ড্রেসিং করা হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই। ১. ফাতওয়ায়ে শামী ১/৩৩৪ ২. ফাতহুল কাদীর ১/১৮৬ ৩. আহসানুল ফাতওয়া ২/৯৬ ( ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ )
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন