শনিবার, ৯ মে, ২০১৫

রাসুল সা এর সাথে আবু বকর সিদ্দীক রা এর মিলগুলোঃ - রাসূলের বয়স ৬৩, আবু বকরের বয়সও ৬৩! - রাসূলের ইন্তিকাল সোমবারে, আবু বকরের ইন্তিকালও সোমবারে! - রাসূলের ইন্তিকাল হয় দুপুরবেলা, আবু বকরেরও ইন্তিকাল হয়েছিল দুপুরবেলা। - ইন্তিকালের ১৫ দিন আগে রাসূলের জ্বর এসেছিল, আবু বকরেরও ইন্তিকালের ১৫ দিন আগেই জ্বর এসেছিল! - ইন্তিকালের চার দিন আগে রাসূলের সাকরাত শুরু হয়, আবু বকরেরও চারদিন আগে সাকরাত শুরু হয়। - রাসূল ইন্তিকালের ৪ দিন আগে মুসল্লা ছেড়েছিলেন, আবু বকরকেও ঠিক চার দিন আগেই মুসল্লা ছাড়তে হয়। - রাসূল তাঁর মুসল্লায় সেই লোককেই দাঁড় করিয়েছিলেন, উনার পরে যার খলীফা হবার কথা, অর্থাৎ- আবু বকরকে, আবু বকরও তাঁর মুসল্লায় সেই লোককেই দাঁড় করিয়েছিলেন, উনার পরে যার খলীফা হবার কথা, অর্থাৎ উমরকে। - রাসূলকে ইন্তিকালের ২ বছর আগে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল, আবু বকরকেও দুই বছর আগে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল। - রাসূলকে বিষ দিয়েছিল ইহুদিরা, আবু বকরকেও বিষ দিয়েছিল ইহুদিরা। - রাসূলকে বিষ দিয়েছিল একটি মেয়ে, আবু বকরকেও বিষ দিয়েছিল একটি মেয়ে। - রাসূলকে বিষ দেয়া হয়েছিল খাবারের সাথে, আবু বকরকেও বিষ দেয়া হয়েছিল খাবারের সাথে। - রাসূলকে বিষ দেয়া হয়েছিল গোশতের সাথে, আবু বকরকেও বিষ দেয়া হয়েছিল গোশতের সাথে। - বিষ মিশ্রিত খাবার খেয়ে রাসূলের সাথীরা সব মারা যান, রাসূলকে আল্লাহপাক বাঁচিয়ে দেন, বিষমিশ্রিত খাবার খেয়ে আবু বকরের সাথীরাও সব মারা যান, উনাকে আল্লাহপাক বাঁচিয়ে দেন। .....এখনই অবাক হবার দরকার নেই। আরো আছে। এভাবে জীবনের প্রত্যেকটি ব্যাপারে দু’জন মানুষের মধ্যে এত মিল থাকা, আমার মনে হয় না কোনো বাক্য দিয়ে সেটার সঠিক ব্যাখ্যা করা যাবে! - রাসূলের কন্যা যয়নাবকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল, আবু বকরের মেয়ে আসমাকেও ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। - রাসূলের মেয়ে ফাতেমা চাক্কি ঘুরিয়ে রুটি বানিয়েছেন, আবু বকরের মেয়ে আসমাও চাক্কি ঘুরিয়ে রুটি বানিয়েছেন। - রাসূলের দুই জামাতা হযরত আলী এবং হযরত উসমান আশারায়ে মুবাশশারার অন্তর্ভুক্ত, আবু বকরেরও দুই জামাতা হযরত যুবায়ের এবং স্বয়ং হুযূর (সা.) আশারায়ে মুবাশশারার অন্তর্ভুক্ত। - রাসূলের নাতি হযরত হোসাইনকে শহীদ করা হয়েছিল, আবু বকরের নাতি আব্দুল্লাহ বিন যুবাইরকেও শহীদ করা হয়েছিল। - রাসূলের নাতিকে শহীদ করে মাথা কেটে নেজায় লটকানো হয়েছিল, আবু বকরের নাতিরও মাথা কেটে নেজায় লটকানো হয়েছিল। - রাসূলের নাতিকে শহীদ করবার আগে তাঁর খান্দানকে জবাই করা হয়েছিল, আবু বকরের নাতিকে শহীদ করবার আগে তাঁরও খান্দানকে জবাই করা হয়েছিল। ....এগুলোকে কাকতাল বলে না। এত নিখুঁত মিলকে আর যাই বলা যাক, কাকতাল বলা যায় না। এগুলো হঠাৎ মিলে যাওয়া কোনো ব্যাপার হতে পারে না। আল্লাহপাক যে আবু বকরকে বিশ্বনবীর সর্বোত্তম সহচর হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন, এগুলোকে তারই প্রমাণ বলা যায়। লক্ষ্য করি, শেষ বেলাতেও, দু’জনের বিদায় বেলাতেও কত মধুময় একাঙ্গিকতা- - ইনতিকালের আগে হুযূর মিসওয়াক চাইলেন, আবু বকরও ইনতিকালের আগে মিসওয়াক চাইলেন। - ইনতিকালের সময় হুযূরের মাথার সামনে আয়েশা বসেছিলেন, আবুবকরেরও ইনতিকালের সময় মাথার সামনে আয়েশাই বসা ছিলেন। - হুযূরের মিসওয়াক আয়েশাই চিবিয়ে দিয়েছিলেন, আবু বকরের মিসওয়াকও আয়েশাই চিবিয়ে দিয়েছিলেন। - ইনতিকালের আগ মুহূর্তে হুযূর (সা.) বললেন, ‘আল্লাহুম্মা ফির রফিলিক আ’লা’, ইনতিকালের আগ মুহূর্তে আবু বকরও বললেন, ‘আল্লাহুম্মা ফির রফিলিক আ’লা’। - দুনিয়া ছাড়ার আগে হুযূরের শেষ উচ্চারণ ছিল, ‘আস- সালাত! ‘আস-সালাত! দুনিয়া ছাড়ার আগে আবু বকরেরও শেষ উচ্চারণ ছিল, ‘আস সালাত! আস সালাত!’ - যে হুজরায় হুযূরের লাশ রাখা হয়েছিল, সেই একই হুজরায় আবু বকরেরও লাশ রাখা হয়েছিল। - যে চার পায়ায় হুযূরকে গোসল দেয়া হয়, সেই একই চার-পায়ায় আবু বকরকেও গোসল দেয়া হয়। - যে চাদরে হুযূরকে ঢেকে রাখা হয়েছিল সেই একই চাদরে আবু বকরকেও ঢেকে রাখা হয়েছিল। - কিয়ামতের দিন যে হুজরা থেকে নবী উঠবেন সেই একই হুজরা থেকে আবু বকরও উঠবেন, আল্লাহু আকবার! - কিয়ামতের দিন রাসূল যাবেন যেদিকে, দেখা যাবে আবু বকরও যাবেন সেদিকে। রাসূল যখন মাকামে মাহমুদে আবু বকরও তখন মাকামে মাহমুদে। - এবং সবশেষে রাসূলুল্লাহ যে জান্নাতে, আবু বকরও প্রিয় বন্ধুর সাথে সেই জান্নাতে...।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন