রবিবার, ১০ মে, ২০১৫

রচনা। ।।। আহলে হাদিস বনাম আহলে বাতিল। ।।।।।।। লেখক,মুফতী, মুফিদ। ★★★★★★★★★★★★ নামধারী আহলে হাদিস সম্পর্কে আলোচনাঃ আশা করি সবাই পাঠ করবেন ৷ বর্তমানে আমাদের সমাজে কিছু লোক আছে, যারা বলেন, কুরআন আর বুখারী মানি, আর কিছু মানি না ৷ তাদেরকে বলবো, আপনারা নিচের প্রশ্নের উত্তরগুলো কুরআন আর হাদিস থেকে দিবেন? ইমাম বোখারী রহঃ এবং বোখারী শরীফ সংক্রান্ত মাত্র কয়েক টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিবেন। আশাকরি, যদি দিতে পারবেন না। ১ প্রশ্নঃ : কুরআন শরীফের পর সবচেয় বিশুদ্ধ কিতাব বোখারী, এটা কার বানী আল্লাহ তায়ালার না রাসুল সাঃ এর? ২ প্রশ্নঃ : নামাযে রুকু সিজদার তাসবীহ এবং তাশাহুদ দরুদ শরীফ পড়ার কথা বোখারী শরীফে আছে কি? ৩ প্রশ্নঃ : বোখারী শরীফে কি সর্বদায় ছিনার উপর হাত বাধার কথা আছে ? ৪প্রশ্নঃ : বোখারী শরীফে উটনীর দুধ খাওয়ার কথা আছে এর উপর আপনারা আমল করেন না। অথচ গরু মহীষের দুধ খাওয়ার কথা কোন হাদিসে নেই, তবুও আপনারা কেন খান? (স্বাদ লাগে বলে!) ৫প্রশ্নঃ : বোখারী শরীফে বগলের অবাঞ্চিত লোম উপড়ানোর কথা আছে। (২/৮৭৫) কিন্তু আপনারা ব্লেড ব্যবহার করেন কেন? এর পক্ষে কোন হাদিস আছে কি? ৬ প্রশ্নঃ: রাসুল সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি সর্বদায় রোজা রাখে, সে যেন রোজাই রাখেনি (১/২৬৫)। অথচ ইমাম বোখারী রঃ সর্বদা রোজা রাখতেন! তিনি কি হাদিস বুঝেন নি? খবরদার তাবীল করবেন না। ৭প্রশ্নঃ : রাসুল সাঃ বলেছেন মছিবেতের সময় কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে (২/৮৪৭) কিন্তু এর বিপরীত ইমাম বোখারী রঃ ই মৃত্যু কামনা করেছেন (তারিখে বাগদাদী২/৩৪ ইমাম বুখারী কি হাদিস মানতেন না? নিজে থেকে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই। ৮ প্রশ্নঃ : রাসুল সাঃ বলেছেন বেশী থেকে বেশী সপ্তাহে একবার কুরআন খতম কর, এর থেকে বেশী পড়না(২/৭৫৬)। কোন হাদিসে তিন দিন কোন হাদিসে পাঁচ দিনের কথা আছে, তবে অধিকাংশ হাদিসে সাত দিনের কথা এসেছে (বোখারী)। অথচ ইমাম বোখারী রমযান মাসে প্রতিদিন একবার খতম করতেন (তারিখে বাগদাদ২/১২। তাহলে আপনারা কি ইমাম বোখারী থেকেও বড় আহলে হাদিস? ৯ প্রশ্নঃ : হযরত আয়েশা রাঃ এর বর্নিত হাদিস (১/ ২২৯)দ্বারা প্রমানীত যে তারাবী-তাহাজ্জুদ একই নামায, কিন্তু ইমাম বোখারী রঃ রমযান মাসে তারাবীর পরে তাহাজ্জুদ পড়তেন, তাহলে তিনি কি হাদিসের বিরোধিতা করতেন? ১০প্রশ্নঃ : ইমাম বোখারী হাদিস বর্ননা করেন যে, কুকুর কোন পাত্রে মুখ দিলে সেটা সাত বার ধৌত করতে হবে।পানি নাপাক হওয়ার উনার মাযহাব হল রং গন্ধ স্বাদ পরিবর্তন না হলে পানি নাপাক হয়না (১/২৯)। এ কথাতো স্পষ্ট যে কুকুর পানিতে মুখ দিলে কিছুই পরিবর্তন হয়না। (সুতরাং উনার নিকট কুকুরের ঝুটা পাক? আপনার মতামত কি?) ১১প্রশ্নঃ : বুখারী শরীফের হাদিস দ্বারা এটাই প্রমানিত যে কুকুরের ঝুটা নাপাক (১/২৯)। কিন্তু এর বিপরীত ইমাম বুখারী বলেন, কুকুরের ঝুটা দ্বারা অযু জায়েয(১/২৯), এতো হাদিসের স্পষ্ট বিরোধিতা! এখন কি বলবেন! ইমাম বোখারী ভ্রান্ত ছিলেন? ১২ প্রশ্নঃ : ইমাম বোখারী বলেন,মুসল্লিদেরপিঠে নাপাক বস্তু এবং মৃতপ্রাণী রেখে দিলেও নামায ভংগ হবেনা। আহলে হাদিসের মাযহাব কি? ইমাম বোখারীর নিকট কুরআন খোলা রেখে নামায জায়েজ(১/৫২)। আপনাদের মত কি? বিঃদ্রঃ সহীহ হাদীস থেকে দলীল দিবেন....

1 টি মন্তব্য:

  1. আসসালামু আলাইকুম, আপনাকে কি বলব শুরুতেই ভুল করেছেন
    কুরআন শরীফ কি কোথাও লেখা আছে ? এটা হবে কুরআন মাজিদ.....
    আগে নিজে শিখুন পরে অপরের দোষ খুঁজোন । ভূল হলে ক্ষমা করবেন।

    উত্তরমুছুন